জিমেইল একাউন্ট তৈরী করার নিয়ম। জিমেইল আইডির সুবিধা

হাতে স্মার্ট ফোন থাকা মানে একটি G-mail Account অবশ্যই আমাদের থাকতে হবে। মোবাইলে অনলাইনের যেকোন কাজ করার জন্য G-mail প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই G-mail একাউন্ট তৈরী করতে জানেন না। যারা জানেন না কিভাবে একটি জিমেইল একাউন্ট তৈরী করতে হয় তাদের জন্যে আজকের এই আর্টিকেল। এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের দেখিয়ে দিব, কিভাবে আপনি একটি G-mail Account সঠিক ভাবে তৈরী করবেন। তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

G-mail একাউন্ট তৈরী করার নিয়ম

G-mail Account এর অসংখ্য সুবিধা ও অধিক গ্রহণযোগ্যতার ফলে বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ব্যবহৃত সার্ভিস এটি। যা ছাড়া একটা স্মার্ট ফোন সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যায় না। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঘরে বসে কিভাবে নিজে নিজে G-mail Account তৈরী করতে হয়।



G-mail Account খোলার নিয়ম :

ধাপ - ০১ : প্রথমে নিচের দেওয়া লিংকে ক্লিক করে G-mail এর মূল পেজে চলে আসুন।


ধাপ - ০২ : G-mail এর মূল পেজে আসার পর, উপরের ডানদিকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন লেখায় ক্লিক করুন।

G-mail একাউন্ট তৈরী করার নিয়ম



ধাপ - ০৩ : পরবর্তীতে যে পেইজটি আসবে তাতে আপনার Full Name, Username এবং Password দিয়ে Next বাটনে ক্লিক করুন।
G-mail আইডির সুবিধা

ধাপ - ০৪ : এই ধাপে আপনি আপনার Mobile Number, Birthday ও Gender সিলেষ্ট করে Next এ ক্লিক করুন।  Next এ ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি Otp আসবে।

Create G-mail Account


ধাপ - ০৫ : এখন মোবাইল নাম্বারে আসা ৬ ডিজিটের Otp কোডটি দিয়ে Verify বাটনে ক্লিক করুন ।

G-mail একাউন্ট তৈরী করার নিয়ম

Verify বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার একাউন্টটি তৈরি হয়ে যাবে। তবে Account তৈরী করার পর একাউন্টটি সুরক্ষিত রাখার জন্য অবশ্যই অন্যকোন Gmail ও Phone Number দিয়ে Recovery করে নিবেন। এতে করে কেউ আপনার জিমেইলটি Hack করতে পারবে না। আশা করি Gmail তৈরী করার নিয়ম বুজতে পারছেন। এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক জি-মেইল আইডির সুবিধাগুলা। 

G-mail আইডি খোলার সুবিধা :

১) Website, Facebook, Twitter, Youtube সহ অনলাইনে যেকোন  Account খোলার ক্ষেত্রে Gmail এর প্রয়োজন হয়

২) G-mail Account খুললে Google Account তৈরী হয়ে যায়, যার মাধ্যমে গুগল এর সকল Service ব্যবহার করা যায়, Android ব্যবহারকারীদের জন্য Googe Account থাকা অনেকটা'ই অত্যাবশ্যক।

৩) একবার Gmail একাউন্ট তৈরী করা হয়ে গেলে খুব সহজেই মেসেজ কম্পোজ, সেন্ড ও রিসিভ করা যায়

৪) Youtube ব্যবহার করতে G-mail Account প্রয়োজন হয়, যার মাধ্যমে ইউটিউবে চ্যানেলে Subscribe, Comment করা, Channel খোলা যায়

৫) ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে বিশ্বের যেকোন প্রান্ত হতে'ই ব্যবহার করা যায় Gmail।

৬) Gmail এর মাধ্যমে বিভিন্ন ডকুমেন্ট ও ফাইল খুব সহজেই শেয়ার করা যায়

৭) জি-মেইল এর সাথে পাওয়া গুগল একাউন্টে ১৫ জিবি ফ্রি স্পেস দেওয়া হয়, যা গুগলের সার্ভিসসমুহে ইচ্ছামত ব্যবহার করা যায়

এই ছিল G-mail Account তৈরী করার নিয়ম ও এর সুবিধাসমূহ। G-mail Account খুলতে আশা করি আর কোন সমস্যা হবে না। এরকম নিত্যনতুন টিপস ও ট্রিকস জানতে আমাদের সাথে থাকুন।

Post a Comment

0 Comments