ক্রিকেটে আসতেছে নতুন কিছু নিয়ম। আপনি যদি একজন ক্রিকেটপ্রেমী
হয়ে থাকেন ও নিয়মিত ক্রিকেট খেলা উপভোগ করে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যে কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ক্রিকেটের নতুন সব নিয়মগুলা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো, তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্রায় ৭৫ বছর পর বৈধতা
পেল মানকাডিং আউট। ১৯৪৭ সালে ভারত ও আস্ট্রেলিয়া টেস্টে ভানু মানকরের সমালচিত বিখ্যাত
আউটকে রান আউটের বৈধতা দিয়েছে ম্যারিলিবন ক্রিকেট ক্লাব ( এম সি সি)। সেই সাথে ডেথ বল আউটের পর স্ট্রাইকিং পজিশন
ও আনফেয়ার ফিল্ডিংয়ে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেটের
আইন প্রনয়ন কারী সংস্থাটি। যা ১লা অক্টোবর থেকে এই আইনগুলো চালু করবে আই ICC।
মানকাডিং আউট :
এমনিতে
ক্রিকেটের আইনে 'মানকাডিং' বৈধ আউটই ছিল। কিন্তু অনেকে চেতনা পরিপন্থীর কথা বলে এই ধরণের আউটের সমালোচনা করতেন। সেই সমালোচনার
জায়গাটাও বোধহয় আর থাকছে না। ক্রিকেটের আইন প্রণয়নের সর্বোচ্চ সংস্থা মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট
ক্লাব (এমসিসি) কিছু আইনের ধারায় আনছে বদল। তাতে মানকাডিংয়ে নেওয়া হয়েছে সাধারণ রান
আউটের কাতারে।
বোলার
বল ছোঁড়ার আগে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটসম্যান যদি ক্রিজ ছেড়ে আগেই বেরিয়ে
যান, তাহলে বোলার বল করা বাদ দিয়ে স্টাম্প ভেঙ্গে তাকে আউট করতে পারেন। বৈধ এই আউটকে
নিয়ে ছিল অনেক সমালোচনা। ১৯৪৭ সালে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া টেস্টে অজি
ব্যাটসম্যান মিল ব্রাউনকে ঠিক এইভাবেই আউট করেছিলেন ভারতীয় বোলার ভানু মানকর। যার পরে
চরম সমালচনার মুখে পরে মানকরের নামের সাথে মিলিয়ে এ ধরণের আউটের নাম রাখা হয় মানকাডিং
আউট। এই মানকডিং আউটকে এবার বৈধতার স্বীকৃতি দিল এম.সি.সি। রান আউটের আওতায় আনা হলো মানকডিং আউটকে। এখন
থেকে এই ধরণের আউটকে (আইন-৪১) থেকে সরিয়ে সাধারণ রান আউটের (আইন ৩৮) এ স্থানান্তর করা
হয়েছে। এমসিসি জানিয়েছে এই আউটের নাম হবে 'নন স্ট্রাইকার রান আউট।'
মানকরের
প্রথম ঘটনার পর যতবারই কোন
বোলার এই ধরণের আউটের সুযোগ নিয়েছেন, তিনি পরেছেন সমালোচনায়। ২০০৩ সালে পাকিস্তান সফরে মুলতান টেস্টে জয়ের দিকে বাংলাদেশ ছিল ফেবারিট। সেদিন উমর গুলকে মানকডিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। ভদ্রতার
পরিচয় দিয়ে রফিক মানকডিং করেন নি। যে কারণে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছিল।
নতুন ব্যাটসম্যান স্ট্রাইক পজিশন পাবেন :
এমসিসি
আরেকটি বড় নিয়মে বদল এনেছে। ক্যাচের সময় ক্রসিং নিয়ম তুলে দেওয়া হচ্ছে। কোন ব্যাটসম্যান
ক্যাচ আউট হওয়ার সময় যদি অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ক্রস করেন, তাহলে আগের নিয়মে
ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটসম্যান নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত পেতেন। নতুন নিয়মে ক্রস থাকছে না।
ওভারের শেষ বল না হলে ক্যাচের সময় ক্রসিং হলেও নতুন ব্যাটসম্যানকেই স্ট্রাইক নিতে হবে।
ইংল্যান্ডের দ্য হানড্রেডের সব শেষ আসরে এটি পরীক্ষা
করে দেখা হয়েছে।
বলে লালা লাগানো বল টেম্পারিংয়ের আওতায় :
বলে লালা লাগানোকে বল টেম্পারিংয়ের আওতায় এনেছে ম্যারিলিবন ক্রিকেট ক্লাব।
ব্যাটার পজিশনের উপর দেওয়া হবে ওয়াইড বল :
ব্যাটারের পজিশনের পরিবর্তনের
কারণে বোলার বিভ্রান্ত হয়ে ওয়াইড লাইন ক্রস করে ফেলে তাহলে সেটাকে আর ওয়াইড বল দেওয়া
হবে না। ওয়াইড বল দেওয়া হবে ব্যটারের পজিশনের উপর নির্ভর করে।
আনফেয়ার ফিল্ডিংয়ে পেনাল্টি :
এদিকে ফিল্ডারদের আনফেয়ার
ফিল্ডিং নিয়ে পেনাল্টির ঘোষণা করেছে এম.সি.সি। আগে ফিল্ডাররা কোন প্রকার সুবিধা
নিলে একটি ডেথ বল ঘোষণা করা হতো। কিন্তু এখন প্রতিপক্ষের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ করার
নিয়ম করা হয়েছে।
0 Comments
Your comment helps to inspire and motivate a blogger to write something better, so please don't forget to give your feedback after reading each post.
Emoji