অনলাইন থেকে আয় করার সেরা ৯ টি উপায় - Online theke income korar upay

অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেক মাধ্যম ও পদ্ধতি রয়েছে। সেসব পদ্ধতির অনেক রকম সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই রয়েছে। অনলাইনে উপার্জনের পথসমূহ এত বেশী যে, নতুনদের জন্য তা বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, প্রশ্ন জাগে কি দিয়ে কাজ শুরু করলে ভালো আয় করা সম্ভব। 

অনলাইন থেকে আয় করার ৯ টি উপায়

অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হলে প্রথমে প্রয়োজন ধৈর্যের। ধৈর্য নিয়ে কাজ করলে তবেই অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব। অধিকাংশ মানুষ শুধু মাত্র ধৈর্যের অভাবে অনলাইনে সফল ভাবে সামনের দিকে এগুতে পারে না। আজকে আমি আপনাদের অনলাইনের মাধ্যমে আয় করার ৯ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।




অনলাইন থেকে আয় করার ৯ টি উপায়

ইউটিউব থেকে আয় :

আপনার মাঝে যদি কোন সুপ্ত প্রতিভা থাকে এবং আপনি যদি ভিডিওর মাধ্যমে আপনার প্রতিভা প্রকাশ করতে চান তাহলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করাটা হবে আপনার জন্য সহজ একটি মাধ্যম। 

গুগল এডসেন্স :

গুগলের সেবাদান সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি। বর্তমানে অনলাইনে প্রথম সারির একটি প্রতিষ্ঠান। এডসেন্স হল গুগলেরই একটি সেবা যার মাধ্যমে আয় করা যায়। এটি সাধারনত আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগে এড প্রদর্শন করবে এবং ভিজিটর তাতে ক্লিক করলে আপনি টাকা পাবেন। এখানে আপনাকে কোন প্রোগ্রামিং বা তার মত কঠিন কিছু না জানলেও হবে।আপনার যা দরকার তা হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ। বর্তমানে যদি আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ খোলার সামর্থ না থাকে তাহলে গুগলের ফ্রি ব্লগিং সেবা নিতে পারেন। সেই ব্লগে ভাল ভিজিটর আনতে হবে তাহলেই আপনি ভাল অঙ্কের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটের ভাল ভিজিটর পেতে হয়ত আপনাকে একটু ধের্য ধরতে হবে এবং নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।



এফিলিয়েট মার্কেটিং :

এফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি উপার্জনের পথ যার সীমানা ব্যাপক। এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন কোম্পানীর সেবা অথবা তাদের পন্যের প্রচার ঘটানো। আর এজন্য তারা আপনাকে কমিশন দিবে। কাজেই আপনি যত বেশী পরিশ্রম করে তাদের প্রচার ঘটাবেন আপনার ইনকাম তত বেশী হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে ভাল অবদান রাখে নিজস্ব ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট কারন এতে সহজে অনেক বেশী ভিজিটরের কাছে আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের পন্য অথবা সেবার প্রচার করতে পারবেন। কিছু কোম্পানী/ওয়েবসাইট কমিশন দেয় তাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাঠানোর জন্য আবার কিছু কোম্পানী/ওয়েবসাইট টাকা দেয় তাদের কাছ থেকে পন্য কেনার জন্য।

ফ্রিল্যান্সিং(Freeancing) :

যদি আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে দক্ষতা থেকে থাকে । তাহলে আপনি সেই দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং মধ্যে। যেমন-আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, মাইক্রোসফট অফিস, এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং, অডিও এডিটিং ইত্যাদি কোন কোন কাজে দক্ষ তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার এসব দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রচুর পরিমানে ইনকাম করতে পারেন। সাধারনত কাজ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো দেয় না, কাজ দেয় বিভিন্ন ব্যাক্তি,কোম্পানী অথবা প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো শুধু তাদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে আপনাকে করতে দেয়। আপনি বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে গিয়ে তাদের কাজের বিবরন গুলি দেখে নিতে পারেন। কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হল-Freelancer.com,upwork.com ইত্যাদি।



নিজে বিক্রি করে আয় :

নিজে বিক্রি করলে লাভ সাধারনত বেশীই হয়ে থাকে কারন আপনার পন্য বা সেবা বিক্রির পুরোটাই আপনি পাবেন। সেইসাথে নিজে বিক্রি করতে হলে আপনাকে পরিশ্রমও একটু বেশী করতে হবে। আপনার কিছু পন্য আছে আপনি সেই পন্যগুলো আপনার ওয়েবসাইটে রেখে দিতে পারেন অর্থাৎ পন্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন ভিজিটরের সেগুলি পছন্দ হলে তারা সেগুলো আপনার কাছ থেকে কিনবে এবং আপনি টাকা পাবেন। বর্তমানে আপনার যদি কোন পন্য না থাকে তাহলে আপনি অন্যের কাছ থেকে পন্য কিনে তা দিয়েও কাজ চালাতে পারেন। দিন যতই যাচ্ছে অনলাইনে পন্য কেনাকাটার হার ততই বেড়ে চলেছে। তাই গতিশীল বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে আপনার অসুবিধে কোথায়। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সফটওয়্যার, ইবুক,ফটোগ্রাফ রাখতে পারেন এবং সেখানে থাকবে ডাউনলোডের ব্যবস্থা অথবা আপনি পার্সেল করে পাঠাতে পারেন।

অনলাইন বিজ্ঞাপন :

বিজ্ঞাপন এর জোরেই পৃথিবী চলছে। এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে রাখতেই হবে তা নয়। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক রয়েছে আপনি তাদের থেকে পছন্দ করে নিতে পারেন আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগে । বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করতে সংবাদ মাধ্যমের মত সাইট তৈরি করে কাজ করলে আয় বেশী। তবে তা সংবাদমাধ্যম হতেই হবে এমন কোন কথা নেই মানুষের চাহিদা যে বিষয়ের প্রতি বেশী আপনি সেই ধরনের সাইট তৈরি করে ভাল ভিজিটর আনার চেষ্টা করুন তাহলেই অনলাইন বিজ্ঞাপন থেকে আপনি ভাল উপার্জন করতে পারবেন।



রেফার করে ইনকাম :

অনেক সহজ ভাবে ইনকাম এর একটি মাধ্যম হচ্ছে অ্যাপ রেফার করে ইনকাম। এই যে বিকাশ এর অফার চালু আছে আপনি রেফার করলে আপনার রেফার করা app কেউ ইন্সটল করলে ও লগ ইন করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনার একাউন্টে এসে জমা হয় এবং সেটা আপনি চাইলে উইথড্র দিতে পারেন। এই বিকাশ এর মত অনেক app আছে যেখানে কিনা রেফার করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। বাংলাদেশি হলে আপনি টাকা বিকাশেই নিতে পারবেন তবে বিদেশি হলে বিকাশে নেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই অতিরিক্ত কিছু আশা করা যাবে না। যেসব সাইট অনেক বেশি টাকার অফার করে রেফার কমিশন হিসেবে, সেসব সাইট বেশির ভাগ সময় ভুয়া হয়। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয় :

বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট প্রচুর ব্যবহার হচ্ছে। তবে এগুলো শুধুমাত্র চ্যাটিং এর জন্য নয় বা সময় অপচয় এর জন্য নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকতে হবে। এতে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির কাছ থেকে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ যেকোন কোম্পানির পন্যের প্রচারের জন্য স্যোশাল প্লাটফর্ম খুবই জনপ্রিয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য থাকাটা জরুরি।

স্পন্সর লিংক দিয়ে অনলাইনে ইনকাম :

ওয়েবসাইট স্পনসর লিঙ্ক হচ্ছে, কোন ওয়েবসাইটের লিংক আপনি চুক্তিবদ্ধ হয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করবেন। সেই লিংকটি হতে পারে ইমেজ লিংক, ডিরেক্ট লিংক, বা আরও অন্যকোন ভাবে। ওই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ওই ওয়েবসাইটের মালিকের কাছ থেকে টাকা পাবেন সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক, ক্লিক বা ইমপ্রেশনের উপর নির্ভর করে।




-------------------------------------

আজকে এই পর্যন্ত। দেখা হবে পরবর্তীতে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন। যদি আমাদের সাইটের পোস্টগুলো আপনার একটু হলেও উপকারে আসে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন

[ যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে ] 

Post a Comment

0 Comments