Microsoft Office হল এমন একটি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের সেট যা মূলত ব্যবসা বা অফিসের উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হয়। ১৯৯০ সালে প্রথম চালু হওয়া এই অফিস সফ্টওয়্যার, মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। MS Office প্রাথমিক অফিসের কাজগুলোকে সহজ করতে এবং কাজের উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশন নির্দিষ্ট কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেমন ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডেটা ম্যানেজমেন্ট, উপস্থাপনা তৈরি করা এবং ই-মেলগুলি সংগঠিত করা।
Microsoft Office এর একাধিক সংস্করণ তৈরি করেছে যা Windows, Linux, এবং mac OS সহ বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা সমর্থিত হতে পারে। এছাড়াও মাইক্রোসফ্ট অফিস ৩৫টি ভিন্ন ভাষায়ও অফার করে।
মাইক্রোসফট অফিসের মধ্যে কি কি থাকে :
মাইক্রোসফট অফিস হল আন্তঃসম্পর্কিত ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনের একটি সেটআপ, যেমন :
Microsoft Word : Microsoft Word হল একটি গ্রাফিক্যাল ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম। এটি documents পরিচালনা এবং share করা। যেমন: ই-মেল, বই, প্রতিবেদন এবং চিঠির মতো বিভিন্ন নথি সম্পাদনা এবং তৈরি করা এবং গ্রাফিক ডিজাইন সহ ছবি, চার্ট, ডায়াগ্রামের মতো একটি ব্যবসায়িক নথি তৈরি করার মত কাজ করে থাকে।
Microsoft Excel : Microsoft Excel হল একটি স্প্রেডশীট যা তৈরি হয় সফটওয়্যার কোম্পানির Microsoft দ্বারা। Microsoft Excel এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য হল গ্রাফিক্স টুল, পিভট টেবিল এবং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ভিজ্যুয়াল বেসিক নামে একটি ম্যাক্রো প্রোগ্রামিং language
Microsoft Access : Microsoft Access হল একটি ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, এটি জেট ডাটাবেস ইঞ্জিনের উপর ভিত্তি করে নিজস্ব ফরম্যাটে ডেটা সঞ্চয় করে রাখে।
Microsoft Outlook : মাইক্রোসফ্ট আউটলুক কে একটি স্বতন্ত্র অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এটি shared মেইলবক্স, ক্যালেন্ডার, exchange পাবলিক ফোল্ডার, শেয়ার পয়েন্ট list এবং মিটিং শিডিউলের মত একাধিক ব্যবহারকারীর দের জন্য মাইক্রোসফ্ট এক্সচেঞ্জ সার্ভার এবং মাইক্রোসফ্ট শেয়ার পয়েন্ট সার্ভারের সাথে কাজ করতে পারে।
Microsoft OneNote : Microsoft OneNote হল Microsoft Office এবং Windows 10-এর একটি অংশ। এটি Windows, Windows ফোন, Mac অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি বিনামূল্যের স্বতন্ত্র অ্যাপ্লিকেশন হিসেবেও উপলব্ধ রয়েছে। মাইক্রোসফ্ট ওয়ান নোট হল মাইক্রোসফ্ট অফিসের একটি ওয়েব-ভিত্তিক সংস্করণ।
Microsoft PowerPoint : PowerPoint হয়ে উঠেছে একটি কম্পোনেন্ট মাইক্রোসফট অফিস স্যুট। এটি মূলত designed করা হয়েছে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে গ্রুপ উপস্থাপনার জন্য ভিজ্যুয়ালিটি প্রদান করতে।
Microsoft office এর কাজ কি :
Microsoft Office হল অফিস-সম্পর্কিত অ্যাপ্লিকেশন গুলির একটি সেটআপ যা মূলত ব্যবসা বা অফিসের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। MS অফিস প্রাথমিক অফিসের কাজ গুলিকে সহজ করতে এবং কাজের ফলাফলকে আরও উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশন একটি অনন্য উদ্দেশ্যকে পরিবেশন করে এবং নির্দিষ্ট কাজগুলিকে অফার করে, যেমন MS ওয়ার্ড শব্দ প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়, ডেটা পরিচালনার জন্য এক্সেল, PROJECT তৈরির জন্য পাওয়ারপয়েন্ট এবং ই-মেলগুলি সংগঠিত করার জন্য আউটলুক ইত্যাদি। MS Office অনেক আকর্ষণীয় এবং দরকারী বৈশিষ্ট্য বহন করে যা আমাদের এই ডিজিটাল বিশ্বে থাকা আবশ্যক। এটি বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন-সহ সর্বাধিক ক্রমবর্ধমান শিল্পগুলির মধ্যে একটি অন্যতম। দেখা যাক ব্যবসার পাশাপাশি শিক্ষার ক্ষেত্রেও এর কী ধরনের উপকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
MS WORD :
মূল Text Document তৈরিতে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
MS WORD এর সাহায্যে বিভিন্ন ধরণের টেমপ্লেট তৈরি করা যেতে পারে।
Doc ফাইলের এক্সটেনশন হল “.doc”।
ওয়ার্ক আর্ট, রঙ, ছবি, অ্যানিমেশন একই ফাইলে পাঠ্যের সাথে যোগ করা যেতে পারে যা একটি নথি আকারে ডাউনলোডযোগ্য।
লেখার কাজ সম্পাদনা করতে MS WORD ব্যবহার করা জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার।
MS EXCEL:
প্রধানত ডেটাবেজ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
এটা ডেটা প্রসেসিং এ ব্যবহার করা হয়।
একটি স্প্রেডশীটে row এবং কলামের আকারে গ্রিড থাকে যা পরিচালনা করা অনেক সহজ হয় এবং কাগজের প্রতিস্থাপন হিসাবে এটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
MS EXCEL ব্যবহার করে ট্যাবুলার ফরম্যাটে বড় ডেটাকে সহজেই পরিচালনা এবং সংরক্ষণ করা যায়।
সেকেন্ডের মধ্যে স্প্রেডশীটের cell এ প্রবেশ করা বিপুল পরিমাণ ডেটার উপর ভিত্তি করে গণনা করা যেতে পারে খুব সহজেই।
যখন কম্পিউটারে সংরক্ষিত হয় তখন এর ফাইল এক্সটেনশন থাকে “.xls” আকারে।
MS POWERPOINT :
অডিও ভিসুয়াল প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে এটা ব্যবহার করা হয়।
একটা প্রেজেন্টেশন অনেকগুলো স্লাইড নিয়ে তৈরি হয়, যেগুলোতে ডেটা অথবা ইনফরমেশন থাকে।
এটির ক্ষেত্রে ফাইল এক্সটেনশন, যখন কম্পিউটারে সংরক্ষিত হয়, তা হল “.ppt” আকারে।
প্রতিটি স্লাইড এর মধ্যে অডিও, ভিডিও, গ্রাফিক্স, টেক্সট, বুলেট নম্বরিং, টেবিল ইত্যাদিও থাকতেই পারে
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি professional কাজে ব্যবহার করা হয়।
PowerPoint ব্যবহার করে presentation তৈরী করলে session আরো interactive হয়ে ওঠে।
MS ACCESS :
এটা একটি database management software (DBMS)।
টেবিল কোয়ারিস ফর্ম এবং রিপোর্ট এই MS ACCESS এর মাধ্যমে তৈরি হয়।
এই ফাইল এর এক্সটেনশন টি হল “.accdb”।
অন্যান্য ফরমেটে ডেটার ইমপোর্ট এক্সপোর্ট এই MS ACCESS ই করে থাকে।
MS ONENOTE :
এটি একটি নোট টেকিং অ্যাপ্লিকেশন।
নোটের মধ্যে টেক্সট ইমেজ টেবিল সমস্ত কিছু ইনক্লুড থাকতে পারে।
অনলাইন এবং অফলাইন দুটোতেই ব্যবহার করা হয় এবং এটি একটি মাল্টি ইউজার অ্যাপ্লিকেশন।
এর ফাইল এক্সটেনশন টি হল “.one”।
MS OUTLOOK :
এটি একটা পার্সোনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
এটি সিঙ্গেল ইউজার অ্যাপ্লিকেশন এবং মাল্টি ইউজার অ্যাপ্লিকেশন দুটোর ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এটি অফিস suite এর ইমেল ক্লাইন্ট হিসেবেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এটার ফাইল এক্সটেনশন টি হল “.accdb”।MS OFFICE হল একটি সুরক্ষিত একমাত্র প্ল্যাটফর্ম যেখানে অনেকগুলি দরকারী বৈশিষ্ট্য একসাথে রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। এই ছিল Microsoft office সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য। যদি কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে বলতে পারেন।
0 Comments
Your comment helps to inspire and motivate a blogger to write something better, so please don't forget to give your feedback after reading each post.
Emoji