ফ্রি ব্লগিং নাকি টাকা খরচ করে ব্লগিং করবেন। চাইলে আপনি শুধুমাত্র ইন্টারনেট খরচের টাকা ছাড়া আর কোন টাকা খরচ না করে একটি ব্লগিং সাইট পরিচালনা করতে পারবেন আবার চাইলে কয়েক হাজার টাকা খরচ করেও আপনি আপনার ব্লগিং সাইট পরিচালনা করতে পারবেন। আজকে আমি আলোচনা করব আমি কেন ফ্রি অথবা পেইড ভার্সন ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন । আর কোনটি শুরু করলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার কেমন হবে।
ফ্রি ব্লগিং নাকি পেইড ব্লগিং:
প্রথমত কথা হচ্ছে অনেকেই সামান্য ধারণা নিয়ে ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। যাদের অনেকাংশ ডোমেইন কি, হোস্টিং কি, এগুলা কিভাবে কিনতে হয় । এসব বিষয়ে তেমন ধারণা থাকে না। আবার অনেকেই আছে যাদের কিনা এসব কেনার পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ থাকে না। একটি ব্লগিং সাইট চাইলে আপনি ফ্রিতে পরিচালনা করতে পারেন। আর এই সুবিধা দিচ্ছে গুগল নিজে। যদি আপনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ না থাকে তাহলে আপনি ফ্রি থিম ও ব্লগস্পট নাম ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্লগার সাইট পরিচালনা করতে পারেন। তবে ফ্রি ব্লগ সাইটের মান গুগলের কাছে কিংবা পাঠকদের কাছে তেমন গুরুত্ব থাকে না। যার কারণে এসব সাইটে তেমন একটা ভিজিটর পাওয়া যায় না এবং ভিজিটর না পাওয়ার ফলে নিজের মাঝে একটা হতাশা কাজ করে ব্লগিং কি আমি করব নাকি করব না।
কিন্তু আমি বলব যদি আপনার কাছে বর্তমানে কোন অর্থ না থাকে আর আপনি যদি ফ্রিতে ব্লগিং করতে চান তাহলে করতে থাকুন। ৪০-৫০ টি আর্টিকেল লিখুন। বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করুন। দেখবেন খুব বেশি ভিজিটর না পেলেও মোটামোটি অনেক ভিজিটর হলেও পাবেন। পরবর্তী সময়ে অর্থ হাতে থাকলে ভালো কোম্পানি থেকে একটি ডোমেইন কিনে নিবেন। যদি গুগলের সেবা ব্যবহার করেন তাহলে কোন হোস্টিং লাগবে না আর যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ব্লগিং করেন তাহলে অবশ্যই ভালো মানের হোস্টিং লাগবে। তবে আমি বলব একেবারে ফ্রিতে ব্লগিং করে অর্থ আয় করে ফেলবেন এটা সম্পূর্ণ দিবা স্বপ্ন । আপনাকে অবশ্যই কমবেশি অর্থ খরচ করতে হবে । তাহলে আপনি আপনার সাইট এর মান ভালো রাখতে পারবেন। যদি ফ্রিতে ব্লগিং করে আয় করা যেত কিংবা ফ্রি সাইটগুলা ভালো ভাবে রেংক করানো যেত তাহলে আর কোন ব্লগার তাদের সাইটের জন্য টাকা খরচ করে ডোমেইন কিংবা হোস্টিং কিনত না। তাই ব্লগিং ক্যারিয়ারে নিজেকে সামনের কাতারে নিয়ে আসার জন্য অবশ্যই আপনাকে পেইড অর্থ্যৎ টাকা খরচ করে ব্লগিং করতে হবে।
0 Comments
post a comment
Emoji