KYC কি । KYC কেন জরুরি – KYC এর গুরুত্ব

আজকে আমি আলোচনা করব KYC কি, KYC এর পূর্ণরূপ কি, এর গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা নিয়ে। আপনি যদি এ বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

KYC কি । KYC কেন জরুরি – KYC এর গুরুত্ব

বর্তমান সময়ে, আপনি একটি bank account খোলার থেকে শুরু করে মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার বাজার, গোল্ড লোন, অন্যান্য লোন নেওয়া, গোল্ডে ইনভেস্ট ইত্যাদি প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আমাদের KYC করতে হয়। যদি আপনি এই KYC এর বিষয়ে সঠিক ভাবে না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়লে ভালোভাবে বুজতে পারবেন।

KYC কি :

KYC এর পূর্ণ নাম হলো “Know Your Customer“ যার বাংলা অর্থ হয় 

Know = জানো

Your = নিজের

Customer = গ্রাহকদের।

অর্থাৎ “নিজের গ্রাহকদের জানো“।

এটা হলো একটি প্রক্রিয়া যেটা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোর দ্বারা সম্পূর্ণ করা হয়। এখানে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের গ্রাহকদের পরিচয় এবং ইনকামের মাধ্যম গুলো যাচাই করে থাকে। KYC এর মাধ্যমে গ্রাহদের কার্যক্রম, পরিচয়, ঠিকানা এবং যেই টাকা গ্রাহক বিনিয়োগ (invest) করতে চলেছেন সেটা সম্পূর্ণ বৈধ কিনা এই বিষয়গুলো নিয়ে যাচাই করা হয়।



Know Your Customer (KYC) standards গুলোকে এভাবে পরিকল্পিত করা হয়েছে যাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে fraud, corruption, money laundering ইত্যাদির থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। তাই, সোজা এবং সরল ভাবে বলতে গেলে KYC একটি প্রতিষ্ঠানকে তার বিনিয়োগকারীর পরিচয় এবং ঠিকানাকে প্রমাণিত করতে সক্ষম করে তোলে। যেকোনো গ্রাহক bank, mutual fund, share market, Gold ইত্যাদিতে ইনভেস্ট (invest) শুরু করতে চাইছেন, তাকে সর্বপ্রথমত নিজের KYC জমা দিতে হয়।

তবে, আপনাকে বার বার KYC প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হয় না, মানে যখন আপনি জীবনে প্রথম বারের জন্যে বিনিয়োগ শুরু করতে চলেছেন কেবল তখন KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেই হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিনিয়োগ (invest) ইত্যাদি করতে গেলে আপনার সেই প্রথম বার করা KYC দিয়েই কাজ হয়ে যাবে।

KYC কেন জরুরি – KYC এর গুরুত্ব :

KYC হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে customers দের পরিচয় ভালো করে ভেরিফাই করা হয়। KYC নির্দেশিকাগুলির উদ্দেশ্য এটাই যে, যাতে bank বা financial institutions গুলোকে criminal elements দের দ্বারা money laundering activities এর মতো অপরাধমূলক কার্যক্রম করার থেকে বাধা দেত্তয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে bank বা financial institutions রা তাদের গ্রাহকদের এবং তাদের আর্থিক লেনদেন গুলো ভালো করে বুঝতে পারে। গ্রাহকদের কিছু স্বাধীন এবং নির্ভরশীল documents, data বা information গুলোর মাধ্যমে সেই গ্রাহকের পরিচয় সনাক্তকরণ এবং যাচাই করার প্রক্রিয়াটি হলো KYC.

পরিচয় যাচাই করার উদ্দেশ্যে :

Individual customers দের ক্ষেত্রে bank এর দ্বারা গ্রাহকের পরিচয় (identity) তথ্য, এড্রেস (address) এবং recent photograph প্রাপ্ত করা হয়। Joint holders এবং mandate holders দের জন্যেও এই একই ধরণের তথ্য দিতে হবে।

Non-Individual customers দের ক্ষেত্রে, bank এর দ্বারা বিভিন্ন identification data গুলো প্রাপ্ত করা হয়ে থাকে যাতে operating address, authorized signatories, beneficial owners, legal status ইত্যাদি ভেরিফাই করা যেতে পারে।

KYC verification এর প্রক্রিয়াতে মূলত ID card verification, face verification, document verification জড়িত থাকে।



KYC Documents গুলো কি কি :

Individual KYC এর জন্যে কিছু জরুরি নথিপত্র (documents) গুলো হলো -

  • Aadhaar Card 
  • Driving License 
  • Voter id card 
  • PAN Card 
  • Passport

এই document গুলোর যেকোনো একটি আপনারা proof of identity এবং proof of address এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।

KYC কত প্রকারের ও কি কি :

মূলত দুধরণের KYC verification process হয়ে থাকে। দুটো প্রক্রিয়াই সুবিধাজনক এবং কার্যকর।

১. Aadhaar Based KYC

এই KYC verification প্রক্রিয়া মূলত Aadhaar এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। KYC এর এই প্রক্রিয়া আপনারা সম্পূর্ণ অনলাইনে করতে পারবেন। 

২. In-Person Verification KYC

এই ধরণের KYC verification সম্পূর্ণ offline হয়ে থাকে এবং আপনাকে প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে কিজের KYC ভেরিফাই করতে হয়। যদি আপনি mutual fund বা share market এর মধ্যে নিয়মিত অধিক বিনিয়োগ করতে চাইছেন, তাহলে আপনার এই ধরণের In-Person Verification KYC করাটা জরুরি। এই প্রক্রিয়াতে গ্রাহকের identity এবং permanent address গুলো verifying করার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক প্রমাণ হিসেবে documents জমা করতে হয়।



আপনি চাইলে KYC নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে identity এবং address proof হিসেপে self-attested PAN Card, passport, electricity এবং telephone bill, voter’s ID card, ration card ইত্যাদি জমা দিতে পারেন।

আরো পড়ুন - YouTube থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার Pc এবং Mobile এর Best Apps-লিংক সহ

-------------------------------------

আজকে এই পর্যন্ত। দেখা হবে পরবর্তীতে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন। যদি আমাদের সাইটের পোস্টগুলো আপনার একটু হলেও উপকারে আসে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন

[ যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে ] 

Post a Comment

0 Comments