আপনি যদি একজন নতুন ভোটার হয়ে থাকেন এবং আপনার কাছে যদি ভোটার ফরম নাম্বার থেকে থাকে তাহলে কিন্তু উক্ত ফরম নাম্বার দিয়ে খুব সহজে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ডের কপি বের করে নিতে পারবেন। উক্ত আইডি কার্ড দিয়ে প্রয়োজনীয় যেকোন কাজ করতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমি দেখিয়ে দিব কিভাবে আপনি আপনার NID ফর্ম নম্বর দিয়ে ঘরে বসে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করবেন। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আপনি যদি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনাকে একটি ভোটার স্লিপ বা ফরম দিবে, যেখানে ৮/৯ সংখ্যার ডিজিট থাকে। যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি বের করে নিতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি বের করতে নিচের পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন।
ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম :
ধাপ - ০১ : অ্যাকাউন্ট রেজিষ্টার : প্রথমে লিংকে ক্লিক করে সরাসরি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন NID service ওয়েবসাইটটিতে চলে আসতে হবে। সাইটে আসার পর আপনি নিচের মতো একটি রেজিষ্টার অপশন দেখতে পারবেন, এখানে ক্লিক করুন।
ধাপ - ০২ : রেজিষ্টার অপশনে ক্লিক করার পর আপনি নিচের ছবির মতো একটি পেজ দেখতে পাবেন। এখানে আপনার ৮ সংখ্যার ফর্ম নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা সঠিক ভাবে লিখে নিচে থাকা সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ - ০৩ : সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পরে ঠিক এমন একটা পেজ আপনার সামনে চলে আসবে। এখন এখানে আপনি আপনার বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সিলেক্ট করে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ - ০৪ : এখন আপনাকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে। আপনি ভোটার নিবন্ধন হওয়ার সময় যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেই নাম্বারে ভেরিফিকেশন করতে হবে। আবার আপনি চাইলে নাম্বার পরিবর্তন করে নতুন নাম্বার ব্যবহার করে ভেরিফিকেশন করতে পারবেন। আপনার মোবাইল নাম্বারে এসএমএস করে ৬ সংখ্যার একটি কোড পাঠানো হবে সেই কোড দিয়ে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ - ০৫ : ফেস ভেরিফিকেশন : উপরে কার্যক্রম গুলো সম্পূর্ণ করার পরে আপনার ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে। ফেস ভেরিফিকেশন করার জন্য নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটের মেন্যু অপশন থেকে ডাউনলোড অ্যাপস অপশনে ক্লিক করে NID Wallet অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
ধাপ - ০৬ : আপনার স্মার্টফোন যদি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন তাহলে এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করবেন। আর যদি অ্যাপেল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন তাহলে আইওএস অ্যাপ ব্যবহার করবেন। অ্যাপটি ওপেন করলে ক্যামেরা চালু হয়ে যাবে, এখন আপনাকে ডানে, বামে এবং সোজাসুজি ভাবে মুখমন্ডল স্ক্যান করতে হবে। আপনার চেহারার সাথে মিল থাকলে ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হবে।
ধাপ - ০৭ : মুখমণ্ডল বা ফেস স্ক্যান করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনাকে অটোমেটিক ভাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটের পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
অতি : ফরম নাম্বার হারিয়ে গেলে যা করবেন :
নতুন ভোটার নিবন্ধন হওয়ার সময় সময় আপনাকে যে ফরম দেওয়া হয়েছিলো সেই ফরম যদি হারিয়ে যায় তাহলে নিজের উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। আবার, আপনি নিকটস্থ থানায় জিডি করতে পারেন। জিডির কপি নিয়ে নিজের উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করলে তারা আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করে দিবে। এই প্রক্রিয়া শুধু তারাই করতে পারবে যাদের বয়স ১৮ বছর সম্পন্ন হয়ে এবং যারা নতুন ভোটার হয়েছেন।
আশা করি বুজতে পেরেছেন, এভাবে খুব সহজে ঘরে বসে ফরম নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের কপি বের করে নিতে পারবেন। অনলাইন ভিত্তিক যেকোন বিষয়ে খুঁটিনাঁটি টিপস ও ট্রিকস জানতে আমাদের সাথে থাকুন।
0 Comments
post a comment
Emoji