একটি ওয়েবসাইটের মান নির্ভর করে উক্ত ওয়েবসাইটে আপনি কি নিয়ে কাজ করতেছেন তার উপর । আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটিকে উপরের সারির মধ্যে নিয়ে আসতে চান তবে আপনাকে বেশ কয়েকটি কাজ করতে হবে যা নিচে আলোচনা করা হলো ।
ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট : প্রথমত একটি ওয়েবসাইটের মান নির্ভর করে উক্ত ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট এর উপর । ওয়েবসাইটকে ভালোভাবে র্যাংক করানোর জন্য অবশ্যই ভালো মানের কন্টেন্ট তৈরী করতে হবে। তাই সবসময় তথ্য নির্ভর লং আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করুন। সমসাময়িক বিষয় ও ভাইরাল টপিক নিয়ে কাজ করুন।
ওয়েবসাইটের এসইও : সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা সংক্ষেপে এসইও যা অনেকগুলো বিষয়ের সমন্বিত একটি পদ্ধতি । আপনার সাইটটিকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন — গুগল, বিং, ইয়াহু ইত্যাদির কাছে তুলে ধরবে। মানুষ মূলত এসব সার্চ ইঞ্জিনেই তাদের কাঙ্খিত বিষয় সম্পর্কে অনুসন্ধান করে থাকে, এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটটিকে যথাযথ ভাবে এসইও করে থাকেন তাহলে সহজেই আপনার সাইটের কন্টেন্টগুলো ভিজিটররা পেয়ে যাবে।
সোশ্যাল শেয়ার : আপনার কন্টেন্টগুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে তা কাঙ্খিত ভিজিটরদের কাছে তুলে ধরতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে তা অবশ্যই মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে।
সাইট সিকিউরিটি : আপনার ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি যদি দুর্বল হয় তবে তা উন্নত করে নিন। আপনার ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি দুর্বল হলে তা যেকোন সময় আপনার নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যেতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্রাউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটটে প্রবেশের অনুমোদনের ক্ষেত্রে সতর্কতা দেখাতে পারে।
কি ওয়ার্ড রিসার্চ : মানুষ কি কি বিষয়ে সব থেকে বেশি সার্চ করে সে বিষয়গুলো যদি বের করে নিতে পারেন পাশাপাশি সে সকল কিওয়ার্ডের কম্পিটিশন এবং মূল্য দেখে নিতে পারেন এবং এসকল কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে নতুন নতুন আর্টিকেল লিখতে পারেন। বিনামূল্যে জনপ্রিয় কিছু কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলের মধ্যে রয়েছে — গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার + গুগল ট্রেন্ডস, উবার সাজেস্ট, বিং এসইও, ইত্যাদি।
সাইট স্ট্রাকচার এবং ডিজাইন : আপনার ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার এবং ডিজাইন যদি সুন্দর হয় তবে সহজেই ভিজিটরদের কাছে তা জনপ্রিয় হয়ে যাবে। তাই সাইটে সুন্দর থিম ব্যবহার করুন পাশাপাশি আপনার লেখা আর্টিকেলগুলা গুছিয়ে ফোল্ডার আকারে রেখে দিন যেন কেউ সাইটে প্রবেশ করলে তা সহজে পড়তে পারে।
সাইটের লোডিং স্পিড : আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড যদি ধীরগতির হয় তবে তা অন্যান্য ওয়েবসাইটের থেকে পিছিয়ে থাকবে। তাই ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং ধীরগতি হলে তা নিয়ে কাজ করুন।
2 Comments
অসাধারণ উপস্থাপনা। আপনি এই পোস্টটিতে এসইওর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেছেন । ধন্যবাদ
ReplyDeleteThanks For Your Comment........
Deletepost a comment
Emoji