বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম। How to open a bKash agent account

বর্তমান সময়ে বিকাশ একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এই বিকাশ দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত টাকা লেনদেন করে থাকি। অনেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বিকাশ ব্যবহার করে আবার অনেকে বিকাশে টাকা লেনদেন এর ব্যবসা করে। যারা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বিকাশ ব্যবহার করে তাদের একটি বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট প্রয়োজন হয়।আবার যারা বিকাশ দিয়ে টাকা লেনদেন এর ব্যবসা করতে চায় তাদের জন্য একটি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট (bkash agent) প্রয়োজন হয়। 

How to open a bKash agent account

কারন বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট দিয়ে ব্যবসা করা যায় না। তাই কেউ যদি বিকাশে টাকা লেনদেন এর ব্যবসা করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই একটি বিকাশ এজেন্ট (bkash agent) একাউন্ট খোলতে হবে। অনেকেই হয়তো পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জানেন কিন্তু বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম অনেকেই জানেন না। আর আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট (bkash agent account) কিভাবে খুলতে হয় তা না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য, এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট কার জন্য - bKash Agent

মনে রাখবেন সবাই কিন্তু বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট করতে পারবে না। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট করার বেশ কিছু নিয়ম আছে, যারা বিকাশের ব্যবসা করতে চায় বা চলমান ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ দিয়ে ব্যবসা করতে চায় শুধুমাত্র তারাই বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলতে পারবেন অর্থাৎ আপনি যদি bKash agent একাউন্ট করতে চান তাহলে আপনার চলমান কোন ব্যবসা বা নতুন কোন ব্যবসা থাকতে হবে।

বিকাশ ব্যবসায়ে মূলধন

অনেকের মনে প্লশ্ন জাগতে পারে যে, বিকাশ ব্যবসায় কত টাকা পুঁজি প্রয়োজন। এটা আপনার উপর নির্ভর করবে। তবে আপনি চাইল ৫০,০০০ বা ১ লক্ষ টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনি যত বেশি লেনদেন করবেন তত বেশি আপনি লাভবান হবেন। 


বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে

বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য বেশ কিছু রিকুয়ারমেন্ট রয়েছে সে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে আপনি এজেন্টের রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য যে সমস্ত ডকুমেন্ট এবং অন্যান্য রিকোয়ারমেন্ট এর প্রয়োজন রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিচে তুলে ধরা।

ভালো একটি জায়গায় দোকান হতে হবে, যেখান থেকে আপনার ব্যবসায়িক কার্যক্রম ভালোভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

১) দোকানের ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।

২) এনআইডি কার্ডের সর্বনিম্ন ৪ কপি ফটোকপি

৩) যে ব্যক্তি এজেন্ট হতে চান সেই ব্যক্তির সদ্য তোলা ৪ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

৪) অ্যাক্টিভ পোস্টপেইড সিম।

৫) ই-টিন সার্টিফিকেট।

মূলত, উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস আপনার কাছে যদি থাকে তাহলে আপনি বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।


বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম - bKash Agent Registration

সাধারণত বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার দুইটি নিয়ম রয়েছে। এগুলো হলো -

১. অনলাইনে
২. বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস থেকে

অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে বিকাশ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন। এরজন্য আপনাকে প্রথমে এই অফিসিয়াল লিংকে যেতে হবে। এরপর আপনি একটি আবেদন ফর্ম পাবেন। এই ফর্মে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে নিন। মাথায় রাখতে হবে, এখানে কোন ধরনের মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না। 

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং রেজিস্ট্রেশন

সকল তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করার পর, এবার নিচে "জমা দিন" বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে সাথে সাথে আপনার আবেদন ফরমটি সাবমিট হয়ে যাবে। ফর্মটা সাবমিট হওয়ার পর বিকাশ প্রতিনিধি আপনার সবকিছু যাচাই করবে। সব ঠিক থাকলে আপনার বিকাশ আবেদনটি একটিভ হয়ে যাবে। এটাই হলো অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া।


বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস থেকে

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার আরেকটি উপায় হলো ডিসট্রিবিউশন অফিস। আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করতে না চান তাহলে আপনি আপনার পার্শ্ববর্তী বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিস থেকে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। আপনি যদি আপনার পার্শ্ববর্তী বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের লোকেশন না জানেন তাহলে 16247 ডায়াল করে জেনে নিতে পারবেন। তারপর ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে গিয়ে আপনি আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। আপনি যদি বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিস থেকে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনাকে কিছু কাগজপত্র সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। যেমন আপনার ছবি, আপনার ভোটার আইডি কার্ড ইত্যাদি।

আশা করি বুজতে পারছেন, এভাবে আপনি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন। বিকাশ এজেন্ট সম্পর্কে যেকোন তথ্য ভালো ভাবে জানতে বিকাশ হেল্প লাইনে যোগাযোগ করুন।

Post a Comment

0 Comments