নারীকে ভোগের পণ্য হিসাবে নয় বরং নিজের অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে ঘরে তুলুন

এই সমাজের প্রায় স্থানে অধিকাংশ মেয়েরা তারা তাদের শ্বশুর বাড়িতে অসহায়ের মতো জীবন পাড় করতে ব্যস্ত। "বলবো না সবার জীবন এমন, কিন্তু অধিকাংশ মেয়েদের জীবনটা'ই এমন ভাবে চলছে"। ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে এই সমাজ আর আমরা পুরুষরা সর্বদা মেয়েটার দোষ দিয়ে থাকি। "শুনতে চাই না ওই মেয়েটার মনের অব্যক্ত কথাগুলা"। জানতে চাই না সত্য-মিথ্যার আড়ালে থাকা গল্পগুলা।

নারীকে ভোগের পণ্য হিসাবে নয় বরং নিজের অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে ঘরে তুলুন।

বাঙ্গালি জাতি হিসাবে আমার আপনার বোনরা যখন বউ হয়ে অন্যের ঘরে পা রাখে। "তখন তার স্বপ্ন, লক্ষ্য কিংবা উদ্দেশ্য একটায়, এই নতুন বাড়িতে নতুন করে সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলা"। শ্বশুর বাড়ির লোকজন যেমনি হোক না কেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার। কিন্তু তেতো লাগলেও এটা'ই সত্যি, পরের ঘরের মেয়েকে খুব কম ফ্যামিলি নিজের মেয়ের চোখে দেখে, অধিকাংশরা দাসীর মতো ব্যবহার করতে ব্যস্ত।
শারীরিক নির্যাতনগুলা হয়তো শরীরে দাগ সৃষ্টি করে কিন্তু মানসিক নির্যাতনগুলা দাগ সৃষ্টি করতে পারে না বিধায়, "এই সমাজে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি দোষী, কারণ মানসিক যন্ত্রণার যে কোন ক্ষত নেই আর তা সমাজে দেখাতেও পারে না"।
একটা মেয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে স্বামীর সংসার করতে, কিন্তু যখন সে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়ার পথে থাকে, ঠিক তখনি সে ডিভোর্স নামক অধ্যায়টি বেছে নেয়। "কারণ সবাই বাঁচতে চায়, সবাই একটু সুখের সন্ধান চায়"। সমাজ নারীটাকে যত খারাপ উপাধি দেক না কেন, আমি মনে করি, ওই নারীদের দেওয়া খারাপ উপাধির চেয়েও হাজারগুন বেশি জঘন্যতম এই সমাজ আর সমাজের নিয়ম ব্যবস্থা।
মাঝেমধ্যে খুব অবাক লাগে, অন্যের ঘরের মেয়েটা যখন বউ হয়ে এসে, এত খেটে যাচ্ছে তারপরও শ্বশুর বাড়ির লোকরা মুখে যা আসে তাই বলতে থাকে। "শাসন করার অধিকার অবশ্যই আছে, তবে শাসনের নামে অধিকাংশরা যে শারিরীক ও মানসিক টর্চার করে তখন সেটা আর শাসন থাকে না, বরং অত্যাচারে পরিণত হয়"।
নারীকে ভোগের পণ্য হিসাবে ঘরে না তুলে, যদি একজন পুরুষ নিজের অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে সে মেয়েটাকে ঘরে তুলে নিয়ে আসার চেষ্টা করতো, তাহলে সেই পুরুষ যেমন নিজের জীবনটা পূর্ণ করতে পারতো, তেমনি অন্যের ঘরের মেয়েটাও সুখে জীবন অতিবাহিত করতে পারতো। 
"বউকে হাজারবার শাসন করুন, কিন্তু বাবা-মায়ের অযাথা মিথ্যার চালে আটকিয়ে অত্যাচার করা থেকে বিরত থাকুন"। ভুল করলে শুধরিয়ে দিন, যদি মনে করেন তাকে নিয়ে খাওয়া অসম্ভব তাহলে তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দিন, তারপরও অত্যাচার করবেন না। মা-বাবা যদি ভালো আর সাধু হয় তাহলে তারা কখনো মেয়েটার দোষ স্বামীর কানে তুলার চেষ্টাও করবে না বরং চাইবে নিজের মেয়ের মতো করে আগলিয়ে রাখতে, ভুলগুলা ঠিক করে দিতে। আর যদি ছেলেকে কানপড়া দিতে থাকে তাহলে মনে রাখবেন ওই বাবা-মার মধ্যে ১০০% ঝামেলা আছে। তারা চায় না এই দম্পতি সুখে থাকুক।
আমাদের সমাজে এমন অনেক শ্বাশুড়ি আছে, যারা কিনা মনে করে আমার বিয়ের পর তো আমার শ্বাশুড়ি আমাকে গালমন্দ করেছে, আমি কেন আমার ছেলের বউকে করবো না। সেই থেকে ইচ্ছে করে ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে অনেক ধরণের ঘৃণ্য কাজ করে থাকে।
এই সভ্য সমাজের ভেতরে থাকা অনেক গল্প'ই আড়ালে থেকে যায়। "কলমের কালিতে ফুটে উঠে না সেই সব দিকগুলা"। আবেগ দিয়ে নয়, সত্যের আলোকে কলম চালাও দেখবে সমাজে হাজারো গল্প এভাবে ফুটে উঠবে। মিথ্যা নয়, বাস্তবতা আর সত্যের আলোকে কথাগুলা বলেছি। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
লেখা - মোঃ বিল্লাল হোসেন (দীপ্ত হাওয়া)

-------------------------------------

আজকে এই পর্যন্ত। দেখা হবে পরবর্তীতে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন। যদি আমাদের সাইটের পোস্টগুলো আপনার একটু হলেও উপকারে আসে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্যনতুন পোস্ট পেতে গুগল নিউজ ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।  

Post a Comment

0 Comments