২০২৫ সালের রমজানের সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি। Ramadan Sahri and Iftar Calendar 2025

বছর ঘুরে আবারও ইসলাম প্রিয় মুসলমানদের জন্যে ‘পবিত্র মাহে রমজান’ চলে এসেছে। প্রতিবছর’ই ইসলামিক ফাউন্ডেশন সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করে থাকে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রণীত ‘সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি’ আমরা বাংলাদেশি মুসলমানগণ অনুসরণ করে থাকি। যাদের ‘সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫’ এর সুন্দর একটি ক্যালেন্ডার প্রয়োজন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে ঢাকা জেলার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ঢাকা জেলার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি ও ঢাকার সাথে অন্যান্য জেলার সময়ের পার্থক্যসমূহ।  

সময়সূচি অনুযায়ী ০২ মার্চ, প্রথম রমজানে ঢাকায় সাহরির শেষ সময় ভোর রাত ৫টা ০৪ মিনিট এবং ইফতারের সময় ৬টা ০২ মিনিট (বি.দ্রঃ ১লা রমজান চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল)। সাহরির শেষ সময় সতর্কতামূলক ভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট পূর্বে ধরা হয়েছে এবং ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট পরে রাখা হয়েছে। অতএব, সাহরির সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আজান দিতে হবে। সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলক ভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অন্যান্য বিভাগ ও জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ইসলামিক। ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হবে। (সময় পরিবর্তন হলে জানিয়ে দেওয়া হবে)। 

পবিত্র মাহে রমজানের সময়সূচি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, ১৪৪৬ হিজরী
(ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য প্রযোজ্য)

রহমতের ১০ দিন
রমজান	তারিখ	বার	সাহরীর শেষ সময়	ইফতারের সময়
০১	০২ মার্চ	রবি	৫.০৪ মিনিট	৬.০২ মিনিট
০২	০৩ মার্চ	সোম	৫.০৩ মিনিট	৬.০৩ মিনিট
০৩	০৪ মার্চ	মঙ্গল	৫.০২ মিনিট	৬.০৩ মিনিট
০৪	০৫ মার্চ	বুধ	৫.০১ মিনিট	৬.০৪ মিনিট
০৫	০৬ মার্চ	বৃহস্পতি	৪.৬০ মিনিট	৬.০৪ মিনিট
০৬	০৭ মার্চ	শুক্র	৪.৫৯ মিনিট	৬.০৫ মিনিট
০৭	০৮ মার্চ	শনি	৪.৫৮ মিনিট	৬.০৫ মিনিট
০৮	০৯ মার্চ	রবি	৪.৫৭ মিনিট	৬.০৬ মিনিট
০৯	১০ মার্চ	সোম	৪.৫৬ মিনিট	৬.০৬ মিনিট
১০	১১ মার্চ	মঙ্গল	৪.৫৫ মিনিট	৬.০৬ মিনিট

মাগফিরাতের ১০ দিন
রমজান	তারিখ	বার	সাহরীর শেষ সময়	ইফতারের সময়
১১	১২ মার্চ	বুধ	৪.৫৪ মিনিট	৬.০৭ মিনিট
১২	১৩ মার্চ	বৃহস্পতি	৪.৫৩ মিনিট	৬.০৭ মিনিট
১৩	১৪ মার্চ	শুক্র	৪.৫২ মিনিট	৬.০৮ মিনিট
১৪	১৫ মার্চ	শনি	৪.৫১ মিনিট	৬.০৮ মিনিট
১৫	১৬ মার্চ	রবি	৪.৫০ মিনিট	৬.০৮ মিনিট
১৬	১৭ মার্চ	সোম	৪.৪৯ মিনিট	৬.০৯ মিনিট
১৭	১৮ মার্চ	মঙ্গল	৪.৪৮ মিনিট	৬.০৯ মিনিট
১৮	১৯ মার্চ	বুধ	৪.৪৭ মিনিট	৬.১০ মিনিট
১৯	২০ মার্চ	বৃহস্পতি	৪.৪৬ মিনিট	৬.১০ মিনিট
২০	২১ মার্চ	শুক্র	৪.৪৫ মিনিট	৬.১০ মিনিট

নাজাতের ১০ দিন
রমজান	তারিখ	বার	সাহরীর শেষ সময়	ইফতারের সময়
২১	২২ মার্চ	শনি	৫.৪৪ মিনিট	৬.১১ মিনিট
২২	২৩ মার্চ	রবি	৫.৪৩ মিনিট	৬.১১ মিনিট
২৩	২৪ মার্চ	সোম	৫.৪২ মিনিট	৬.১১ মিনিট
২৪	২৫ মার্চ	মঙ্গল	৫.৪১ মিনিট	৬.১২ মিনিট
২৫	২৬ মার্চ	বুধ	৪.৪০ মিনিট	৬.১২ মিনিট
২৬	২৭ মার্চ	বৃহস্পতি	৪.৩৯ মিনিট	৬.১৩ মিনিট
২৭	২৮ মার্চ	শুক্র	৪.৩৮ মিনিট	৬.১৩ মিনিট
২৮	২৯ মার্চ	শনি	৪.৩৭ মিনিট	৬.১৪ মিনিট
২৯	৩০ মার্চ	রবি	৪.৩৬ মিনিট	৬.১৪ মিনিট
৩০	৩১ মার্চ	মঙ্গল	৪.৩৫ মিনিট	৬.১৫ মিনিট

রোজার নিয়ত :

রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম। 

রোজার নিয়তের অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

ইফতারের দোয়া :

ইফতারের দোয়া বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন। 

ইফতারের দোয়ার বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিজের মাধ্যমে  ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮) 

সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ এর ক্যালেন্ডার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকা জেলার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫।	Download PDF, Download Image
ঢাকা জেলার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ইং, ১৪৪৬ হিজরী।	Download PDF, Download Image
ঢাকা জেলার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি ক্যালেন্ডার ২০২৫ ইং, ১৪৪৬ হিজরী।	Download PDF, Download Image
Toki Unlimited কর্তৃক বাৎসরিক ও রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৫ ইং, ১৪৪৬ হিজরী।	Download PDF, Download Image

ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক সাহরী ও ইফতারের সময়সূচির ক্যালেন্ডার ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, ১৪৪৬ হিজরী।

ইসলামের একটি অন্যতম স্তম্ভ রোজা। ‘রোজা’ ফার্সি শব্দ, আরবিতে বলা হয় ‘সাওম’ বা ‘সিয়াম’ যার অর্থ বিরত থাকা, সংযত থাকা ইত্যাদি। নিয়ত সহকারে সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, কামাচার এবং পাপাচার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। রোজা এমন এক সার্বজনীন ইবাদত, যা রোজাদার’কে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ প্রভৃতি রিপু থেকে রক্ষা করে। এ রোজা একজন মানুষকে দান করে ধর্মীয় মূল্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা, অন্তরের পবিত্রতা ও চিন্তাধারার বিশুদ্ধতা।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পারো। (সূরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)। কুরআনের এ আয়াতটি রোজা ফরজ হওয়ার দলিল। রোজার অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে রমজান মাসের রোজা রাখবে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে রমজান মাসের রাতে ইবাদত করবে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করে কাটাবে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি ও মুসলিম)