বিকাশ হলো বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং একটি সেবা। বিকাশ দিয়ে একজন গ্রাহকের একাউন্ট থেকে অন্য গ্রহকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বা গ্রহন করতে পারেন। তাছাড়াও বিকাশ দ্বারা গ্রহকগণ মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুৎ বিল, বিভিন্ন পেমেন্ট এবং শপিংসহ নানা সুবিধা গ্রহন করেন, এছাড়াও এই লিংক থেকে (ক্লিক করুন) বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নতুন একাউন্ট খুললে অথবা প্রথমবার লগইন করলে পেয়ে যাবেন ১২৫ টাকা বোনাস সহ বিভিন্ন ক্যাশব্যাক অফার। বিকাশে নানা সুবিধা থাকার ফলেও যারা তা ভোগ করতে পারছেন না শুধুমাত্র একাউন্ট তৈরীর প্রসেস না জানার জন্য তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে ঘরে বসে খুব সহজে একটি বিকাশ একাউন্ট খোলতে হয়।
বিকাশ একাউন্ট খুলতে প্রয়োজন :
১) একটি এন.আইডি কার্ড।
২) একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
৩) একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন সাথে ইন্টারনেট কানেকশান।
৪) একাউন্ট খোলার সময় যার এন আইডি কার্ড দ্বারা একাউন্ট তৈরি করবেন তাকে সাথে রাখতে হবে।
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম :
মোবাইলে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্ট তৈরি করা খুব’ই সহজ। নিচের নিয়মানুসারে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নতুন একাউন্ট করলে অথবা প্রথমবার অ্যাপ থেকে বিকাশ একাউন্ট লগইন করলে পেয়ে যাচ্ছেন ১২৫ টাকা ফ্রি বোনাস। নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং বিকাশ বোনাস পাওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন।
ধাপ - ১ : বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল এবং ১০০ টাকা ফ্রি :
নিজে নিজে মোবাইল দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলতে বা প্রথমবার লগইন করে ১২৫ টাকা বোনাস পেতে আপনাকে নিচের লিংক থেকে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। নতুন একাউন্ট খোলার জন্য বা প্রথমবার লগইন করে লেনদেন করে আপনি পাবেন ১২৫ টাকা বোনাসসহ নানা ক্যাশব্যাক অফার। নিচের লিংক থেকে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনটিতে ইনস্টল করুন।
ধাপ - ২ : তারপর নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন :
১) বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে গেলে - অ্যাপটি ওপেন করে “log in/registration” বাটনে ক্লিক করুন।
২) “log in/registration” বাটনে ক্লিক করার পর যে নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান, সে নাম্বারটি প্রদান করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
৩) তারপর আপনার মোবাইল নাম্বারটির অপারেটর সিলেক্ট করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
৪) এখন আপনার মোবাইল নাম্বারটি যাচাই করতে আপনার প্রদত্ত নাম্বারে একটি OTP কোড পাঠানো হবে। উল্লেখ্য যে, যে ফোনে বিকাশ খুলছেন সে ফোনে’ই সিমটি অ্যাক্টিভ থাকতে হবে।
৫) OTP কোডের ম্যাসেজ আসার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোডটি বিকাশ অ্যাপ গ্রহণ করে নিবে।
৬) কোড চলে আসলে “কনফার্ম করুন” এ ক্লিক করুন।
৭) তারপর এন.আইডি কার্ডের প্রথম পৃষ্ঠার ছবি তুলে “সাবমিট করুন” এ ক্লিক করুন।
৮) তারপর অপর পৃষ্ঠার ছবি তুলে আবার “সাবমিট করুন” এ ক্লিক করুন।
৯) এখন সাবমিটকৃত এনআইডি কার্ডে যার ছবি আছে তাকে ফোনে একটি সেল্ফি তুলতে হবে যা দ্বারা আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন করা হবে।
১০) চেহারার ছবি তুলে সাবমিট দিলেই বিকাশ একাউন্ট খোলা সম্পন্ন হয়ে যাবে।
ধাপ- ৩ : বিকাশ একাউন্ট খোলার পর যা যা করবেন :
বিকাশ একাউন্ট খোলার পর একাউন্ট এক্টিভ হতে কিছুক্ষন সময় লাগবে। আপনার মোবাইল নাম্বারে কয়েকটি এস এম এস আসবে। সেখানে বলা হবে আপনার বিকাশ পিন সেট করার জন্য। এস এম এস আসার পর যা যা করবেন তা হলো:
১) বিকাশ খোলার পর প্রথমে *২৪৭# ডায়াল করুন।
২) Active menu pin অফশন আসবে সেখানে ১ টাইপ করে রিপ্লে দিবেন।
৩) তারপর আপনার বিকাশের জন্য একটি ৫ সংখ্যার পাসওয়ার্ড দিতে হবে। আবার ঐ ৫ সংখ্যার কনফার্ম পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
৪) পাসওয়ার্ড সেট করলেই আপনার একাউন্ট এক্টিভ হয়ে যাবে।
আর বিকাশ অ্যাপ খোলার সাথে সাথে আপনি ২৫ টাকা বোনাস পেয়ে যাবে। এই ২৫ টাকা নিজের মোবাইল নাম্বারে রিচার্জ করলে আরো পাবেন ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক। অর্থাৎ ৫০ টাকা বোনাস। বাকি ৭৫ টাকা পেতে আপনাকে একাউন্ট খোলার প্রথম মাসে একাউন্ট থেকে সেন্ড মানি কিংবা পে-বিল করলে পাবেন ৩০ টাকা ফ্রি বোনাস এবং ২য় মাসে আবারও একাউন্ট থেকে সেন্ড মানি কিংবা পে-বিল করলে আরো পাবেন ৪৫ টাকা ফ্রি বোনাস। অর্থাৎ আমাদের রেফার করা লিংক থেকে আপনি বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে নতুন করে একাউন্ট খুললে অথবা বিকাশ অ্যাপে প্রথমবার লগইন করলে পেয়ে যাবে ১২৫ টাকা বোনাস সহ বিভিন্ন ক্যাশব্যাক অফার। তাই এখনি লিংক থেকে বিকাশ অ্যাপটি নিজের মোবাইলে ডাউনলোড করে একাউন্ট খুলে নিন।
0 Comments
Your comment helps to inspire and motivate a blogger to write something better, so please don't forget to give your feedback after reading each post.
Emoji