পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড কি। পেওনিয়ার কার্ড এর সুবিধা ও অসুবিধা। Payoneer Master Card

পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যে কার্ডটি গ্রাহকদের দেওয়া হয়, তা হচ্ছে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড। যার মাধ্যমে একজন গ্রাহক পৃথিবীর যেকোন দেশ হতে অফলাইন কিংবা অনলাইনে কেনাকাটা করে এই কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারে। পৃথিবীর যেকোন দেশ থেকে মাস্টার কার্ড সাপোর্ট করে এমন এটিএম থেকে এই কার্ড দিয়ে টাকা তোলা যায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি কিভাবে আপনি ফ্রিতে একটি পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড নিতে পারবেন, এই কার্ডের মাধ্যমে কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং এর গুরুত্ব কতটুকু। তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

Payoneer Master Card

পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড পাওয়ার শর্ত :

সাধারণত পেওনিয়ার তার গ্রাহককে এই মাস্টার কার্ডটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে দিয়ে থাকে, ফ্রিতে কার্ড পেলেও এর বাৎসরিক একটি খরচ কিন্তু রয়েছে এবং এই কার্ডটি ফ্রিতে হাতে পেতে হলে তাদের কিছু শর্ত আপনাকে মেনে চলতে হবে, তাহলেই আপনি কার্ডটি পেতে পারবেন। শর্ত হিসাবে প্রথমে একটি পেওনিয়ার একটি তৈরী করে নিতে হবে, তারপর আপনার তৈরী করা পেওনিয়ার একাউন্টটি অবশ্যই বৈধভাবে ভেরিফাই করতে হবে। একাউন্ট করার পর ও সফল ভাবে ভেরিফারই করার পর একাউন্টে মোট ১০০ ডলার লেনদেন করলে তারা আপনাকে কার্ড অর্ডার করার অনুমতি প্রদান করবে। যদি তাদের শর্ত না মানেন তাহলে আপনি কার্ড অর্ডার করার সুযোগ পাবেন না। 

কার্ড ফি :

কার্ডটি ফ্রি হলেও এর জন্য আপনাকে বাৎসরিক একটি ফি প্রদান করতে হবে, যার পরিমাণ হচ্ছে ২৯.৯৫ ডলার অর্থাৎ একাউন্টের জন্য যেমন আপনাকে ২৯.৯৫ ডলার বছরে দিতে হয়, তেমনি কার্ডের জন্যেও আপনাকে ২৯.৯৫ ডলার দিতে হবে। তাই কার্ড অর্ডার করার আগে ভেবেচিন্তে অর্ডার করবেন। 



কার্ডের প্রকারভেদ :

পেওনিয়ার তাদের গ্রাহকদের ২ ধরণের কার্ড প্রদান করে থাকে। একটি হচ্ছে Physical card ও অন্যটি হচ্ছে Virtual Card। Physical কার্ডটি অর্ডার করার পর তা হাতে পেতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগে। অন্যদিকে ভার্চুয়াল কার্ডটি অর্ডার করার কিছুক্ষণ পর জি-মেইলে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রদান করে থাকে। 

পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের সুবিধা : বেশ কয়েকটি সুবিধার জন্যে ফ্রিল্যান্সাররা পেওনিয়ার কার্ডটি ব্যবহার করে থাকে, আর তা হচ্ছে : 
  • সহজে ঘরে বসে কার্ডটি হাতে পাওয়া যায়।
  • বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য সেবা ও পৃথিবীর যেকোন দেশে গ্রহণযোগ্য
  • ভার্চুয়াল এবং ফিজিক্যাল কার্ড পাওয়া যায়। 
  • পেওনিয়ার লাইভ সাপোর্ট।
  • সিকিউরিটি ব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী।
  • পৃথিবীর প্রায় সকল কারেন্সি গ্রহণযোগ্য।
পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের অসুবিধা : সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যার কারণে অনেকে এই কার্ডটি ব্যবহার করতে চান না, আর তা হচ্ছে :
  • বছরে কার্ডের জন্য ২৯.৯৫ ডলার গুনতে হবে।
  • পেওনিয়ারের কোন শাখা বাংলাদেশে নেই।
  • ব্যাংক থেকে সরাসরি ডিপোজিট করা যায় না।


আশা করি পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন। যারা অনলাইনে কাজ করেন তাদের জন্যে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন পেমেন্ট করার জন্য এই কার্ডের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনার যদি সত্যিকার অর্থে এই কার্ডের প্রয়োজন হয় তাহলে কার্ডটি অর্ডার করুন। পেওনিয়ার থেকে কার্ড অর্ডার করার নিয়ম বা উপায় জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
আজকে এই পর্যন্ত। দেখা হবে পরবর্তীতে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন। যদি আমাদের সাইটের পোস্টগুলো আপনার একটু হলেও উপকারে আসে তাহলে বন্ধুদের সাথে Share করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্যনতুন Article পেতে গুগল নিউজ ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।  

Post a Comment

0 Comments