Airtm কি ? Airtm একাউন্ট খোলার উপায়। How to Open an Account on Airtm

Airtm হলো একটি অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম এবং ইলেকট্রনিক ওয়ালেট যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন মুদ্রার মধ্যে রূপান্তর, লেনদেন এবং ব্যালেন্স সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে। এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়েছে এমন দেশগুলোতে যেখানে মুদ্রার স্থিতিশীলতার সমস্যা রয়েছে বা আন্তর্জাতিক পেমেন্ট করা কঠিন। Airtm এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের স্থানীয় মুদ্রাকে ডিজিটাল ডলারে (USD) সহজে রূপান্তর করতে পারে এবং তা বিভিন্ন পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে তুলতে বা পাঠাতে পারে। আপনি যদি সঠিক ভাবে একটি Airtm একাউন্ট তৈরী করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য, এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের জন্য Airtm একাউন্ট তৈরীর নিয়মসহ, সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করবো, তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

How to Open an Account on Airtm

Airtm একাউন্ট খোলার ধাপসমূহ :

ধাপ - ০১ : প্রথমে নিচের লিংকে ক্লিক করে Airtm ওয়েবসাইটে চলে আসুন। ওয়েবসাইটে আসার পর দেশের নাম এবং একাউন্টের ধরণ Personal সিলেক্ট করে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

Airtm একাউন্ট খোলার উপায়

ধাপ - ০২ : Continue বাটনে ক্লিক করার পর, নতুন একটি পেজ ওপেন হবে, এখানে চাইলে আপনি সরাসরি জিমেইল কানেক্ট করে সাইন আপ করতে পারবেন অথবা নিচে থাকা Sign up with my email বাটনে ক্লিক করে সাইন আপ করতে হবে। তো আমি বলবো, Sign up with my email বাটনে ক্লিক করে সাইন আপ করুন। । তারপর Airtm এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে "Sign Up" বা । তারপর আপনার ইমেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং দেশ নির্বাচন করুন।

How to Open an Account on Airtm

ধাপ - ০৩ : Sign up with my email বাটনে ক্লিক করার পর নতুন একটি পেজ ওপেন হবে, যেখানে আপনাকে আপনার জিমেইল, পাসওয়ার্ড ও সম্পূর্ণ নাম দিতে হবে। তারপর নিচের দিকে Click to verify অপশনে ক্লিক করে ভেরিফাই করে নিবেন। সকল কার্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করে "Create Account" বাটনে ক্লিক করুন।

How to Open an Account on Airtm

ধাপ - ০৪ : "Create Account" বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। রেজিস্ট্রেশন করার পরে Airtm আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিঙ্ক পাঠাবে, ‍উক্ত লিঙ্কে ক্লিক করে ইমেইল ভেরিফাই করে নিতে হবে। 

Airtm একাউন্ট খোলার উপায়

ধাপ - ০৫ : এছাড়া Airtm একাউন্ট ব্যবহার করতে ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইডি যাচাই করবে। এজন্যে আপনার পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি আপলোড করতে হবে। সেলফি বা লাইভ ফেস ভেরিফিকেশন যদি চায় তাহলে তা করতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে একাউন্ট ভেরিফেইড করে নিন।

Airtm একাউন্ট খোলার উপায়

সঠিকভাবে একাউন্ট তৈরী ও ভেরিফাইড করার পর আপনার একাউন্ট সক্রিয় হয়ে যাবে, তারপর আপনি এই একাউন্টে লেনদেন করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় পেমেন্ট মেথড যুক্ত করে নিন - যেমন : পেপাল, বিকাশ, নগদ, ব্যাংক ইত্যাদি। যেকোন সময় আপনি Airtm একাউন্টের মাধ্যমে টাকা এড করতে কিংবা উইথড্রো করতে পারবেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য :

  • যাচাইকরণের জন্য সঠিক এবং বৈধ ডকুমেন্ট ব্যবহার করবেন।
  • ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা করুন।
  • Airtm আপনার দেশের স্থানীয় পেমেন্ট মেথড সমর্থন করছে কিনা তা যাচাই করে নিন।

Airtm একটি কার্যকর এবং সুবিধাজনক প্ল্যাটফর্ম, বিশেষত এমন ব্যক্তিদের জন্য যারা আন্তর্জাতিক লেনদেন বা স্থানীয় মুদ্রা থেকে ডলারে রূপান্তর করতে চান। তবে এটি ব্যবহার করার আগে এর সুবিধা ও অসুবিধা বিবেচনা করা জরুরি। আসুন Airtm একাউন্টের সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নেওয়া যাক।

Airtm একাউন্টের সুবিধা

মুদ্রা রূপান্তরের সহজতা :

Airtm ব্যবহার করে স্থানীয় মুদ্রা থেকে ডলার বা অন্য মুদ্রায় দ্রুত রূপান্তর করা যায়। যারা ডলার সঞ্চয় করতে চান, তাদের জন্য এটি কার্যকর।

পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন :

Airtm ব্যবহারকারীরা সরাসরি অন্য ব্যবহারকারীর সাথে লেনদেন করতে পারে। এতে লেনদেনের খরচ কম হয় এবং দ্রুত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

আন্তর্জাতিক লেনদেন :

Airtm দিয়ে সহজেই আন্তর্জাতিক লেনদেন করা যায়। এটি ফ্রিল্যান্সারদের, রিমোট কর্মীদের এবং ব্যবসায়িক পেমেন্টের জন্য বিশেষ উপযোগী।

বৈচিত্র্যময় পেমেন্ট মেথড :

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পেপাল, ক্রিপ্টোকারেন্সি, মোবাইল মানি সহ বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন সমর্থন করে।

মুদ্রার স্থিতিশীলতা :

মুদ্রাস্ফীতি বা স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়নের ঝুঁকি এড়াতে ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল ডলার সংরক্ষণ করতে পারেন।

নিরাপদ লেনদেন :

Airtm পেমেন্ট সিস্টেম এনক্রিপটেড এবং ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইডি ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া চালায়।

মোবাইল এবং ওয়েব প্ল্যাটফর্ম :

এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ এবং ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস সরবরাহ করে।


Airtm একাউন্টের অসুবিধা

ফি এবং চার্জ :

Airtm-এর মাধ্যমে লেনদেনের সময় কিছু ট্রান্সফার ফি প্রযোজ্য হয়, যা বড় অঙ্কের লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যয়বহুল হতে পারে।

আইডি যাচাইয়ের প্রয়োজন :

আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং যারা প্রাইভেসি পছন্দ করেন, তাদের জন্য অসুবিধাজনক হতে পারে।

স্থানীয় পেমেন্ট সীমাবদ্ধতা :

সব দেশে Airtm-এর সকল ফিচার সমর্থিত নয়। কিছু দেশে স্থানীয় পেমেন্ট মেথড সীমিত।

পিয়ার-টু-পিয়ার নির্ভরশীলতা :

পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন সিস্টেমে নির্ভর করে কখনো কখনো লেনদেন সম্পন্ন হতে দেরি হতে পারে।

চার্জব্যাক সমস্যা :

কিছু ক্ষেত্রে, পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেনের সময় চার্জব্যাক সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষত যদি উভয় পক্ষ সতর্ক না থাকে।

সমর্থন পরিষেবা :

ব্যবহারকারীদের অভিযোগ সমাধান করতে Airtm-এর কাস্টমার সাপোর্ট কখনো ধীরগতিতে কাজ করে।

ইন্টারনেট নির্ভরতা :

Airtm ব্যবহার করতে ইন্টারনেট সংযোগ অপরিহার্য, যা সবসময় উপলব্ধ নাও হতে পারে।

Airtm-এর পিয়ার-টু-পিয়ার সিস্টেম নির্ভর করে অন্য ব্যবহারকারীর সততার ওপর। এ কারণে যাচাই-বাছাই করে এবং সঠিকভাবে যোগাযোগ করে লেনদেন করা উচিত। এছাড়াও অনলাইনে খুব বেশি অর্থ লেনদেন না করায় উত্তম। যাদের ছোটেখাটো লেনদেন করার প্রয়োজন হয় তারা এগুলার মাধ্যমে করতে পারেন। অবশ্যই লেনদেনের সময় সতর্ক থাকবেন। এখানে নানা ভাবে মানুষ প্রতারণা করতে পারে, তাই সর্তকতার সহিত লেনদেন করার পরামর্শ দিব।

Post a Comment

0 Comments