Payeer অ্যাকাউন্ট হচ্ছে জনপ্রিয় একটি অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম যার মাধ্যমে সহজে’ই অর্থ লেনদেন করা যায়। সাধারণত আন্তর্জাতিক ভাবে এই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন ডিজিটাল মুদ্রা, যেমন : Bitcoin, Ethereum, USDT সহ অন্যান্য ফিয়াট মুদ্রাও সমর্থন করে থাকে। অনলাইনের বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে কাজ করার পর Payeer অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে হয়। আপনি যদি এমন কোনো প্ল্যাটফর্মে কাজ করে থাকেন, যেখানে Payeer একাউন্টে পেমেন্ট নিতে হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি Payeer একাউন্ট তৈরী করে নিতে হবে। তো কিভাবে সঠিক উপায়ে একটি Payeer একাউন্ট তৈরী করবেন এবং Payeer একাউন্টের সুবিধা ও অসুবিধা কি, তা নিয়ে থাকছে আজকের এই আর্টিকেল।
অনলাইনে কোনো প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি প্রথমে আমাদের জানা প্রয়োজন তা হচ্ছে, উক্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে কিসের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া যায়। কষ্ট করে কাজ করার পর যদি দেখেন পেমেন্ট নিতে পারছেন না, তাহলে সে কাজ করার চেয়ে না করাই ভালো। যাদের কাজের ক্ষেত্রে Payeer একাউন্টের প্রয়োজন, তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল, তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
Payeer একাউন্ট তৈরির উপায় :
ধাপ - ০১ : প্রথমে লিংক থেকে (ক্লিক করুন) ক্লিক করে সরাসরি Payeer ওয়েবসাইট বা অ্যাপে চলে আসুন। তারপর “Create Account” বা “Sign Up” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ - ০২ : এই ধাপে আপনার G-mail দিয়ে নিচে থাকা “Create Account” বাটনে ক্লিক করুন। তারপর, আপনার জি-মেইলে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে, সেটা নির্ধারিত বক্সে লিখে “Continue without confirmation” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ - ০৩ : এই ধাপে পাসওয়ার্ড সেট করুন। (সংখ্যা, বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর ও স্পেশাল ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন)। পাসওয়ার্ড সেট করার পর “Next” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ - ০৪ : এই পর্যায়ে আপনার নাম লিখুন এবং দেশের নাম সিলেক্ট করে “Done” অপশনে ক্লিক করুন। Done অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার একাউন্টটি তৈরী হয়ে যাবে। একাউন্ট তৈরী হয়ে গেলে লেনদেন করতে পারবেন। তবে, একাউন্ট তৈরীর পর তা ভেরিফাই করে নেওয়াই উত্তম।
ধাপ - ০৫ : একাউন্ট ভেরিফাই করতে হলে, একাউন্ট থেকে Profile অপশনে ক্লিক করুন। তারপর একাউন্টের জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে ভেরিফাই করে নিন। সাধারণত একাউন্ট ভেরিফাই করতে, ভোটার আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বিদ্যুৎ বিল/ব্যাংকের ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
যেসকল ক্ষেত্রে Payeer একাউন্ট ব্যবহার করা যায় :
- অনলাইন থেকে পেমেন্ট গ্রহণ ও প্রদান করা যায়,
- বিভিন্ন মুদ্রার মধ্যে বিনিময় করা যায়,
- ব্যাংক এবং মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে টাকা উত্তোলন করা যায়,
- ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা করা যায়,
- অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কেনাকাটা করা যায় ইত্যাদি।
Payeer অ্যাকাউন্টের সুবিধাসমূহ |
|
---|---|
মাল্টি-কারেন্সি সাপোর্ট |
Payeer একাউন্ট একাধিক মুদ্রা সমর্থন করে থাকে। |
স্বল্প ট্রান্সেকশন ফি |
অন্যান্য পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের তুলনায় Payeer এর লেনদেন খরচ কম। |
ফাস্ট ট্রান্সফার সিস্টেম |
দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য লেনদেন সুবিধা। |
ব্যাংক কার্ড লিঙ্ক করার সুবিধা |
ব্যাংক কার্ড সংযুক্ত করে Payeer থেকে সরাসরি লেনদেন করা যায়। |
নিরাপত্তা |
উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন 2FA, SMS ভেরিফিকেশন, এবং পাসওয়ার্ড এনক্রিপশন। |
Payeer একটি বিশ্বস্ত ও বহুমুখী পেমেন্ট গেটওয়ে, যা একজন গ্রাহককে আন্তর্জাতিক লেনদেনের সুবিধা দিয়ে থাকে। সহজ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া, মাল্টি-কারেন্সি সাপোর্ট এবং শক্তিশালী সিকিউরিটি সিস্টেমের কারণে এটি অনলাইন ব্যবহারকারীদের কাছে খুব’ই জনপ্রিয়। আশা করি করি বুজতে পারছেন, Payeer একাউন্ট তৈরী করে নিতে কারো কোনো সমস্যা হবে না। এরকম নিত্যনতুন টিপস ও ট্রিকস জানতে আমাদের সাথে থাকুন।
0 Comments
post a comment
Emoji